বাঁধের কারণে বীজতলা তৈরি হচ্ছে না কিশোরগঞ্জে তিন হাজার কৃষকের মাথায় হাত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৩ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর ও ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার সংযোগস্থল তেলিয়াগ্রাম ও ব্রাহ্মণকচুরি গ্রামে কৃষকদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নে প্রায় তিন হাজার কৃষকের বিজ রোপন নদী বাঁধ দেওয়ায় তেলিয়াগ্রামের ১০ জন জেলের মাছ ধরার জন্য পানিতে ডুবে যায়। নদীতে বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষের প্রস্তুতির খবর পেয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, নান্দাইল থানার ওসি ইউনুস, সিংরইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম, অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি খোন্দকার শওকত জাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মামুন আল-মাসুদ খান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার লুনা, লতিবাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিছ মিয়া হরিপুর বাজারে যৌথ মিটিংয়ের পর বাঁধটি নস্যাৎ ও নদীর পানি স্বাভাবিক চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাস্তবে নদীতে এসে দেখা যায় জেলেরা নদীতে প্রায় ১০ হাত জায়গা জুড়ে মাটি ভরাট করে পানির গতিরোধ করে মাছ ধরে। কিন্তু নান্দাইল ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উক্ত বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেও সদর উপজেলা লতিবাবাদ ইউনিয়নে ৩ হাজার কৃষকের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য বীজতলা নির্মাণে কোন সুফল পাননি। কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, আমরা প্রায় তিন হাজার কৃষক এই বাঁধের জন্য আনুমানিক ৩ হাজার মণ ধান উৎপন্ন করে থাকি। যদি সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর